রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
নাসির উদ্দীন শাহ্- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
“আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট না থাকলে পেট্রোল পাম্পগুলোকে জ্বালানি তেল না দেয়ার কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে নীলফামারী জেলা পুলিশ। হেলমেট ছাড়া কেউ মোটরসাইকেলে জ্বালানি তেল কেউ যেন না পায় সেজন্য পেট্রোল পাম্প গুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
পুলিশের “নো হেলমেট, নো ফুয়েল” কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে পূর্বের তুলনায় বেড়েছে হেলমেট পরিধানকারী মোটরসাইকেল চালকদের সংখ্যা। সড়কে ফিরছে শৃঙ্খলা। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম। এতে করে দূর্ঘটনার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী স্থানীয় সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
মোটরসাইকেল চালক জুয়েল আলী শাহ বলেন, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট রাস্তার ধুলা-বালা থেকে শুরু করে সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের রক্ষার জন্য উপকারে আসে। পুলিশ সুপারের এই উদ্যােগকে আমি সচেতন নাগরিক হিসেবে স্বাগত জানাই এবং এ-ই কার্যক্রম চালু রাখতে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রকিবুল আলম ফিলিংস স্টেশনের ম্যানেজার কালু হোসেন বলেন, আমরা পাম্পে হেলেমেট ছাড়া কারো কাছেই পেট্রোল-অকটেন বিক্রি করছি না। একজন নাগরিক হিসেবে প্রশাসনের সকল দিক-নির্দশনা আমরা মেনে করে চলছি। এছাড়াও হেলমেট ছাড়া কেউ যদি তেল নিতে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পাম্প ও কর্মচারীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।
পুলিশ সুপারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান বলেন, নিরাপদ সড়ক ও সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য ট্রাফিক আইন মেনে চলা ও হেলমেট পরিধান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দূর্ঘটনায় অধিকাংশ মানুষ হেলমেট না থাকার কারণে গুরুতর দূর্ঘটনার শিকার হয়। পুলিশের এই পর্যবেক্ষণ সব সময় যেন অব্যাহত থাকে সেই প্রত্যাশা করি।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালকদের কাছে জ্বালানি তেল বিক্রয় করা না হয় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি হেলমেট ছাড়া তেল নিতে এসে মালিক বা ম্যানেজারের সাথে খারাপ আচারণ করলে তাহলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এজন্য জেলার প্রতিটি তেল পাম্পে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত করা হয়।